বর্তমানে এক গবেষণায় জানা যায় কাঁচা দুধ পান শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই লেখায় কেন কাঁচা দুধ পান করবেন না তা তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গবেষক বেঞ্জামিন ডেবিস এর গবেষণা মতে, কাঁচা দুধ পাস্তুরীকৃত দুধের চেয়ে ১০০ বেশি রোগ ছড়াতে পারে। সাধারণত দুধে প্রাপ্ত জীবাণুর মাঝে রয়েছে ইশিরিসিয়া কোলাই (O157:H7), সালমোনেলা, ক্যাম্পাইলোব্যাকটার, লিস্টেরিয়া ইত্যাদি। এসব জীবাণু মানুষ বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী মহিলা ও বয়স্কদের খাদ্যজনিত রোগের কারণ। তাছাড়াও কাঁচা দুধ পানে নিম্নের দুটি মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।
যক্ষা হবার সম্ভাবনা: কাঁচা দুধ পান করলে পানকারীর শরীরে মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামক যক্ষার জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। যক্ষা আক্রান্ত গাভী কিংবা মহিষে জীবাণু থাকতে পারে। আক্রান্ত প্রাণী থেকে সংগৃহিত দুধের মাধ্যমে এই রোগ মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে। যদি কেউ কাঁচা দুধ পান করে তবে এই জীবাণু পানকারীর শরীরে প্রবেশ করে যক্ষারোগ ছড়াতে পারে।
এসিডিটির সমস্যা: আমাদের শরীরে এসিড ও ক্ষারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরী। কাঁচা দুধ শরীরে এসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। দুধ অনেক রোগ সাড়াতে পারে। এটির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক। তবে এসিডের অনিয়ন্ত্রিত মাত্রা আবার অনেক রোগ ডেকে আনতে পারে। এটি কিছু কিছু লোকের এসিডির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
অনেক সময় পাস্তুরীকৃত দুধেও যক্ষার জীবাণু থাকতে পারে। কারণ এটি অধিক তাপেও মারা যায় না। তবে অধিকাংশ জীবাণুই সামান্য কিংবা অধিক তাপের কারণে মারা যায়। তাই দুগ্ধজনিত রোগ থেকে বাঁচতে হলে দুধ ফুটিয়েই পান করা উচিৎ।
-
লেখক:
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু)।