একজন সুস্থ যুবকের রক্তের চাপ হয় ১২০/১৮০।
রক্তের চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী হলে অর্থাৎ ১২০/৮০ এর বেশী হলে এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হলে তখন ঐ ব্যক্তীর উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপার টেনশন আছে বলে ধারনা করা হয়। উচ্চচাপ এক ধরনের রোগ। এই উচ্চ রক্তচাপ যত বেশী হয় হৃদপিন্ড ও ধমনীর রোগ ততই বাড়ে।
হাইপার টেনশন এর লক্ষণ:
- সকালে ঘুম হতে উঠলে মাথার পেছন দীকে ও ঘাড়ে ব্যাথা।
- মাথা ঘোরা, কানে ভোভো করা, বুক ধরফর করা, দুর্বলতা, নীদ্রাহীনতা, অল্পতেই বিরক্ত হওয়া।
- বুকে ব্যাথা, অল্প পরিশ্রমে শ্বাসকষ্ট, রাতে হাপানী।
- পক্ষাঘাত।
- ঘনঘন প্রস্রাব, কখনও প্রস্রাবের সময় রক্ত যেতে পারে।
- বাবা-মা‘র উচ্চ রক্তচাপ থাকলে।
- শরীরে ওজন বেড়ে গেলে।
- গতি, উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা বেড়ে গেলে।
- এলকোহল জাতীয় খাবার খেলে।
- অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকলে।
- অধিক সময় জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি খেলে।
আকুপাংচার এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি (acus ও puncture) শব্দ দুটি থেকে আকুপাংচার (Acupuncture) কথাটি এসেছে। (Acu) শব্দের অর্থ সুই এবং (puncture) শব্দের অর্থ ফোটানো। সুতরাং আকুপাংচার শব্দের আক্ষরিক অর্থ সুই ফোটানো। রোগ নিরাময়ে ষ্টেইনলেস ইষ্টিলের সুই-এর প্রয়োগ প্রণালীই হল আকুপাংচার।
আকুপাংচার বা সুই ফুটিয়ে রোগের চিকিৎসা চীনের মানুষের হাজার হাজার বছরের গবেষণার ফল। এই চিকিৎসা পদ্ধতীতে শরীরের বিভিন্ন বিন্দুতে ছোট ছোট সুই ফোটানো হয়। উক্ত সব বিন্দুর সঠিক অবস্থান নির্ণয়ে একটি মানচিত্র চীনের আকুপাংচার বিষেজ্ঞরা তৈরী করেছেন। তারা মানব শরীরে সর্বমোট ৭৭৮টি ভিন্ন ভিন্ন বিন্দু নির্ধারণ করেন। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে সুচগুলো গভীরে ফোটানো হয় না এবং প্রায় সম্পূর্নরূপে যন্ত্রনাবীহিন। এ ধরনের চিকিৎসা মাত্র দশ মিনিট কাল স্থায়ী হয়। অবশ্য এই পদ্ধতিতে প্রথমে পাথরের সুই এবং পরে বাশেঁর সুই ব্যাবহৃত হত। বর্তমানে ষ্টেইনলেস ষ্টিল এর সুই ব্যাবহৃত হয়।
এখানে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার স্বত্ত্ব ও দায় লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত। আমাদের সম্পাদনা পরিষদ প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে এখানে যেন নির্ভুল, মৌলিক এবং গ্রহণযোগ্য বিষয়াদি প্রকাশিত হয়। তারপরও সার্বিক চর্চার উন্নয়নে আপনাদের সহযোগীতা একান্ত কাম্য।
যদি কোনো নকল লেখা দেখে থাকেন অথবা কোনো বিষয় আপনার কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়ে থাকে, অনুগ্রহ করে আমাদের কাছে বিস্তারিত লিখুন।