কান চুলকালে আমরা অনেকেই কটন বাডের সাহায্যে কান চুলকানোকে তার যথার্থ সমাধান মনে করি৷ কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা; বরং কটন বাড দিয়ে কান চুলকালে কানের সমস্যা দেখা দিতে পারে৷
প্রাকৃতিকভাবেই কানের নিজস্ব কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে, যার মাধ্যমে কান পরিষ্কার হয়৷ তাই কোনো কারণে কানে কোনো সমস্যা হলেও কটন বাড দিয়ে কান পরিষ্কার করার কোনো প্রয়োজন নেই৷
যাঁরা কটন বাডের মাধ্যমে কান পরিষ্কার করে থাকেন, তাঁদের প্রাকৃতিকভাবে কান পরিষ্কার হওয়ার পদ্ধতিটি বাধাগ্রস্ত হয়৷ কয়েক দিন আগে খুলে রাখা প্যাকেট থেকে কটন বাড বের করে নিয়ে ব্যবহার করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ৷
আমাদের দেশে আর্দ্রতার প্রভাবে প্যাকেট খুলে রাখা কটন বাডে ছত্রাক জন্মায়, সেটি কানে ব্যবহার করলে কানে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে৷
কান পরিষ্কার করার সময় কোনো কারণে হঠাৎ চমকে উঠলে অসতর্কতাবশত কানে কটন বাডের আঘাত লাগতে পারে৷ কটন বাড দিয়ে কান অহেতুক খোঁচাখুঁচির ফলে কানে আঘাত লাগতে পারে নিজের অজান্তেই, এমনকি ছিঁড়ে যেতে পারে কানের পর্দাও৷
যদি কানের কোনো অসুখের কারণে কান চুলকায়, তাহলে কটন বাড ব্যবহারের কারণে অসুখের মাত্রা বেড়েও যেতে পারে৷ শিশুদের ক্ষেত্রে ১৫ দিন বা এক মাস পর পর কানে জলপাই তেল দেওয়া যেতে পারে৷ তবে শিশুর কান পাকার সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে৷
বড়দের কানে ময়লা জমার তেমন কোনো কারণ নেই৷ তবে বারবার কানে বেশি বেশি ময়লা জমলে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন৷
প্রতি কানে ৮-১০ ফোঁটা জলপাই তেল দিতে হবে৷ কানে তেল দেওয়ার পরে সেটি ফেরত আসার পর বাইরে থেকে তুলা দিয়ে মুছে দিতে হবে৷ একই সঙ্গে দুই কানে জলপাই তেল দিলেও কোনো সমস্যা নেই৷